Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

একটি বিশেষ ঘোষনা: এতদ্বারা বারঘরিয়া ইউনিয়নের অধিবাসীদের জানানো যাচ্ছে যে, সদ্য জন্মগ্রহণকৃত ০ থেকে ৪৫ দিন ও ১বছর বয়সের শিশুর নিবন্ধন করা হয়নি তাদের যতদ্রুত সম্ভব নিবন্ধন করুন । মৃতব্যক্তির মৃত্যুর ০ থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে মৃত্যুনিবন্ধন সম্পন্ন করে আপনার আইনি দায়িত্ব পালন করবেন উল্লেখ্য যে, ০ থেকে ৪৫ দিনের শিশুর জন্মনিবন্ধন করতে পিতা মাতার জন্মনিবন্ধন লাগবে না।  এ বিষয়ে আপনাদেরকে সার্বিক সহযোগীতা প্রদানের জন্য নিজনিজ ওয়ার্ডের গ্রামপুলিশদের সাথে যোগাযোগ করুন। বি:দ্র: যদি কোন ব্যক্তি জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের তথ্য গ্রামপুলিশদের প্রদান না করে তবে জন্ম ও মৃত্যু আইন-২০১৩ মোতাবেক ৫০০০/- টাকা অথবা ১ বছর কারাদণ্ড দেয়া হতে পারে০-১ বছরের নিবন্ধনের জন্য ফোনে +8809696474345 অথবা https://m.me/Baragharia.UP ফেসবুক মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করুন।


বিশেষ অর্জন
  • আম ভিত্তিক শিল্প: বর্তমান আমের কদর ও সহজলভ্যতা থাকা সত্ত্বেও এখানে আম নির্ভর কোনো শিল্প গড়ে ওঠেনি। তাই আমকে কেন্দ্র করে এখানে কোনো শিল্প গড়ে তোলা যেতে পারে। জুস, প্যাকেটজাত আচার, কিংবা অন্যান্য খাবার তৈরির প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ উদ্যোক্তা ও কর্মী গড়ে তোলা যেতে পারে। পাশাপাশি দেশে বিদেশে প্রক্রিয়াজাত খাবার রপ্তানি আমাদের সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিতে পারে।
  • মৃৎশিল্প: মৃৎশিল্প বারঘরিয়া ইউনিয়নের একটি অতি সুপরিচিত ও ঐতিহ্যবাহী শিল্প। এখানে বহুকাল থেকে গড়ে উঠেছে মাটি দ্বারা নির্মিত দেব-দেবীর প্রতিমা তৈরির শিল্পকর্ম, পাশাপাশি এখানকার হিন্দু পাল সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষ এটিকে জীবিকা হিসেবে গ্রহণ করে কাজ করে চলেছেন। এখানে মাটি দ্বারা নির্মিত হয় ফুলের বাহারি ডিজাইনের টব, মাটির হাঁড়ি, ঢাকনা, কলস, সানকি, শিশুদের মনোরঞ্জনের জন্য ফল-ফুল, পশু-পাখি ইত্যাদি। কিন্তু এখন পর্যন্ত এর শিল্পের নির্মাণ কৌশল ও পোড়ানোর পদ্ধতি খুবই সনাতন। তাই হাতে চাক ঘোরানোর পরিবর্তে বৈদ্যুতিক মটর ভিত্তিক চাক ও ধোঁয়া নিরসনে গ্যাস ভিত্তিক পোড়নোর প্রকল্প গ্রহণ করা যেতে পারে। পাশাপাশি আরো উন্নত শিল্পকর্ম তৈরির ক্ষেত্রে তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচীও চালু করা যেতে পারে। আবার মাটির এই শিল্পকর্ম দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রপ্তানির মাধ্যম এখনো চালু হয়নি। কারণ, ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণের দিকে বিবেচনা করে তা বাইরে প্রেরণ করা সম্ভব হয় না। তাই পরিবহনের জন্য উন্নত মাধ্যমের নতুন কোনো চিন্তা ভাবনা করার সময় এখনই।
  • বারঘরিয়া দৃষ্টিনন্দন পার্কের পুনঃগঠন ও সুসজ্জিতকরণ:

      বারঘরিয়া ইউনিয়ন সংলগ্ন বারঘরিয়া বাজারের পার্শ্ববর্তী মাঠটি বর্তমানে বারঘরিয়া বাজার দৃষ্টিনন্দন পার্ক নামে সুপরিচিত। এই মাঠের উত্তর দিকে প্রবাহমান মহানন্দা নদী ও মহানন্দা সেতু। পশ্চিম পাশে রয়েছে ফল-সবজি ও নদী থেকে সংগৃহীত সুস্বাদু মাছের বাজার ও মার্কেট। ভৌগোলিক ও প্রাকৃতিক দিকে দিয়ে সুন্দর হওয়া সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত এর পুনঃগঠন সম্পূর্ণ হয়নি। যার ফলে পার্কটি মলিন ও রুক্ষ প্রায়। পার্কে শিশু-কিশোরদের বিনোদনের জন্য নেই কোনা উপযুক্ত ব্যবস্থা। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উদ্যোগে নৌ-বিলাস কেন্দ্র নাম দিয়ে পর্যটকদের বসার জন্য কিছু আসন ও নদীতে নামার জন্য একটি সুন্দর সিঁড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে; যার ফলে কিছুটা হলেও সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মাঠের চারপাশে সবুজের সৃষ্টি করে, ফল ও ফুলের গাছ লাগিয়ে, মানুষের বসার জন্য আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করে, কোমলমতি শিশু-কিশোরদের জন্য বিনোদনের উপযোগী সামগ্রী স্থাপন করে জায়গাটিকে আকর্ষণীয় ও একটি সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে। পাশাপাশি এই জেলায় চিরনিদ্রায় শায়িত বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিনের নামে পার্কটির নামকরণ করে পার্কটির পুনঃগঠন করা যেতে পারে । ফলে তরুণ প্রজন্মও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হতে পারবে।

  • ইউনিয়ন সংলগ্ন কাছারিবেষ্টিত এলাকাটির ঐতিহ্যবাহী নাট্যমঞ্চকে পুনরায় উজ্জীবিতকরণ:

      বর্তমান বারঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাত্র ২০ ফুট সামনেই রয়েছে ঐতিহ্যবাহী বিলুপ্তপ্রায় একটি সুপরিচিত নাট্যমঞ্চ। অতীতে এখানে বিভিন্ন ধরনের লোক সংগীত, গম্ভীরা, আলকাপ, মেয়েলী গীত, মনসা পূজার গান, নাটক ও যাত্রাপালার অভিনয় হতো। নাট্যমঞ্চটি পুনঃগঠন হলে ঐতিহ্যবাহী একটি সংস্কৃতি পুনরায় প্রাণ ফিরে পাবে বলে আশা ব্যক্ত করা যায়।

  • স্লুইসগেট সংলগ্ন নীলকুঠির মাঠের ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে একটি পর্যটন কেন্দ্র নির্মাণ:

      বারঘরিয়া ইউনিয়নের পূর্বাংশের শেষ সীমানা ঘেষে স্লুইস গেইট সংলগ্ন যে সুবিস্তীর্ণ সবুজের সমারহ ও নদী বিধৌত প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্য আছে। উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতায় এটির ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিলুপ্ত হতে রোধ করা যাবে। নীলকরদের অত্যাচার ও এখানকার ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে নীলকুঠির ও স্লুইস গেইটের মাঝামাঝি স্থানে দারুণ একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা যেতে পারে।