বারঘরিয়া ইউনিয়ন সংলগ্ন বারঘরিয়া বাজারের পার্শ্ববর্তী মাঠটি বর্তমানে বারঘরিয়া বাজার দৃষ্টিনন্দন পার্ক নামে সুপরিচিত। এই মাঠের উত্তর দিকে প্রবাহমান মহানন্দা নদী ও মহানন্দা সেতু। পশ্চিম পাশে রয়েছে ফল-সবজি ও নদী থেকে সংগৃহীত সুস্বাদু মাছের বাজার ও মার্কেট। ভৌগোলিক ও প্রাকৃতিক দিকে দিয়ে সুন্দর হওয়া সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত এর পুনঃগঠন সম্পূর্ণ হয়নি। যার ফলে পার্কটি মলিন ও রুক্ষ প্রায়। পার্কে শিশু-কিশোরদের বিনোদনের জন্য নেই কোনা উপযুক্ত ব্যবস্থা। সম্প্রতি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উদ্যোগে নৌ-বিলাস কেন্দ্র নাম দিয়ে পর্যটকদের বসার জন্য কিছু আসন ও নদীতে নামার জন্য একটি সুন্দর সিঁড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে; যার ফলে কিছুটা হলেও সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেয়েছে। মাঠের চারপাশে সবুজের সৃষ্টি করে, ফল ও ফুলের গাছ লাগিয়ে, মানুষের বসার জন্য আসন সংখ্যা বৃদ্ধি করে, কোমলমতি শিশু-কিশোরদের জন্য বিনোদনের উপযোগী সামগ্রী স্থাপন করে জায়গাটিকে আকর্ষণীয় ও একটি সুন্দর পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা যেতে পারে। পাশাপাশি এই জেলায় চিরনিদ্রায় শায়িত বীরশ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিনের নামে পার্কটির নামকরণ করে পার্কটির পুনঃগঠন করা যেতে পারে । ফলে তরুণ প্রজন্মও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হতে পারবে।
বর্তমান বারঘরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাত্র ২০ ফুট সামনেই রয়েছে ঐতিহ্যবাহী বিলুপ্তপ্রায় একটি সুপরিচিত নাট্যমঞ্চ। অতীতে এখানে বিভিন্ন ধরনের লোক সংগীত, গম্ভীরা, আলকাপ, মেয়েলী গীত, মনসা পূজার গান, নাটক ও যাত্রাপালার অভিনয় হতো। নাট্যমঞ্চটি পুনঃগঠন হলে ঐতিহ্যবাহী একটি সংস্কৃতি পুনরায় প্রাণ ফিরে পাবে বলে আশা ব্যক্ত করা যায়।
বারঘরিয়া ইউনিয়নের পূর্বাংশের শেষ সীমানা ঘেষে স্লুইস গেইট সংলগ্ন যে সুবিস্তীর্ণ সবুজের সমারহ ও নদী বিধৌত প্রাকৃতিক মনোরম দৃশ্য আছে। উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতায় এটির ইতিহাস ও ঐতিহ্য বিলুপ্ত হতে রোধ করা যাবে। নীলকরদের অত্যাচার ও এখানকার ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে নীলকুঠির ও স্লুইস গেইটের মাঝামাঝি স্থানে দারুণ একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে তোলা যেতে পারে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস